Feature

স্মরণঃ ইকবাল ভাই – আমাদের AQCSFO প্রেসিডেন্ট

April 29, 2023

যোহরের নামাজ পড়ে খেতে যাব। নুসরাত (আমার স্ত্রী এবং AQC Alumnus) খাবার রেডি করছে। শেজওয়া (আমার মেয়ে) বসে টেলিভিশনে সিসিমপুর দেখছে।

খেতে যাওয়ার আগে হাতে কেবল মোবাইল নিয়েছি। সাথে সাথেই AQC Qualified Network, WhatsApp Group-এ সানজিদা আপার মেস্যাজ।

“Salaam. We are extremely sad and devastated to inform you that our Alumnus and Director Md. Iqbal Hossain FCA has been killed this morning in a road accident. We were informed by his younger brother Kabir, who is also a CC supervisor in our Firm. We don’t have too many details yet. His zanaza will be held in Jessore. Please say a prayer for his departed soul.”

ইকবাল হোসাইন নামে সিনিয়র কোন নাম মনে করতে পারছি না। ম্যাসেজটা আবার পড়লাম এবং চোখ আটকে গেল ডিরেক্টর শব্দটার ওপর। কিছুদিন আগেই ইকবাল ভাই ফেইসবুক এবং লিংকডইন-এ প্রোফাইল আপডেট করেছেন। ডিরেক্টর হয়েছেন।

মুহুর্তেই স্তব্ধ হয়ে গেলাম। কোন রকমে নুসরাত-কে বললাম, ইকবাল ভাই রোড অ্যাক্সিডেন্টে আজ সকালে মারা গেছেন। আমরা দুইজনই চুপ হয়ে দাড়িয়ে গেলাম। আর কোন কথা বলতে পারলাম না। আমাদের এই অবস্থা দেখে শেজওয়া কান্না শুরু করে দিল। তাকে থামালাম।

আসলে শুধু আমরা দুজনই না যারাই এই অপ্র্যতাশিত দূর্ঘটনার কথা শুনেছেন, নিশ্চয়ই তাদেরও একই অবস্থা হয়েছে।

মনে পড়ছে ২০১০ সালের কথা। ২০০৯ সালের ১৭ অক্টোবর AQC-তে সিএ পড়া শুরু করি। ইকবাল ভাই আমার এক ব্যাচ সিনিয়র। ২০১০ সালে এখনকার রবি মোবাইল কোম্পানি-তে ইকবাল ভাই, তরিকুল ভাই এবং আমি অডিটে যাই। আমাদের ম্যানেজার রাজ্জাক ভাই, কেবল সিএ পাশ করেছেন। রবি-তে অডিট করতে গিয়ে ইকবাল ভাই এবং তরিকুল ভাই এর সাথে সম্পর্কটা ঘনিষ্ট হয়।

দুপুরে সম্ভবত আমাদেরকে চার তলায় লাঞ্চ করতে যেতে হতো। আমরা অডিট করার জন্য বসতাম ১২ তলায়। সবাই চার তলায় বিশাল ফ্লোরে লাঞ্চ করতে যেতেন। তাই একটু আগে আগে না গেলে লিফটে ওঠতে লম্বা সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো।

আমরা আগে আগে যেতে চাইলেও প্রতিদিন ইকবাল ভাই এর জন্য ধেরি হয়ে যেত। ফ্রেশ রুমে গিয়ে প্রতিদিনই লম্বা সময় নিতেন। এতে করে আমাদের লিফটের সামনেও দাঁড়িয়ে থাকতে হতো।

রাজ্জাক ভাই এজন্য ইকবাল ভাইকে আগেই ফ্রেশ রুমের কাজ শেষ করতে পাঠাতেন। কিন্তু তারপরেও কোন উন্নতি নেই। এই যখন অবস্থা তখন আমরা ইকবাল ভাইকে মাঝে মধ্যে রেখেই চলে যেতাম।

কিছুদিন পর রাজ্জাক ভাই ট্রান্সকম-এ জব নিয়ে চলে গেলেন। আর আমরা রবি অডিট শেষ করে নতুন ক্লাইন্টে গেলাম। তরিকুল ভাই, ইকবাল ভাই এবং আমি একসাথে টানা এক বছর কাজ করি। এই সময়টায় আমার সিএ পড়ায় একটা রুটিন আসে। ঠিক সময়ে ক্লায়েন্টে যাওয়া এবং ঠিক সময়ে আবার ক্লায়েন্ট থেকে বেরিয়ে বাসায় যাওয়া। এতে করে পড়ার প্রচুর সময় পেলাম।

ইকবাল ভাই প্রথমবারেই নলেজ লেভেল (এখন সার্টিফিকেট লেভেল) পাশ করে গেলেন। আমার আর ইকবাল ভাই এর সাথে পরে কোন কাজ করা হয়নি। কিন্তু ফার্মে নিয়মিত দেখা হলে কথা হতো।

ইকবাল ভাই ফার্মে ঢুকার শুরুতে একটা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন। মোবাইল ফোনটা সম্ভবত জামালি ভাই সাথে থেকে কিনে দিয়েছিলেন। মোবাইল ফোনটা অনেক পুরনো হয়ে গেছে। কিছু বাটন বা স্ক্রীন মাঝে মধ্যে কাজ করতো না। আমরা প্রায়ই এটা নিয়ে খোচা দিতাম।

তিনি বলতেন, আমার সাথে যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়েছে তারা এখন ব্যাংকে চাকরি করে অনেক টাকা আয় করছে। ফ্যামিলিকে দিচ্ছে এবং নিজেও জমাচ্ছে। আর আমি এখনও খরচ করে চলেছি। পরীক্ষার জন্য ছয় মাস পর পর টাকা দিতে হয়। সিএ ভর্তি হওয়ার পর থেকে কোন সময় কত টাকা খরচ হয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব আমাদেরকে বলতেন। এতো বিশ্লেষণ শুনে অবাক হতাম।

তবে ইকবাল ভাই এর একটা কথা আমার প্রায়ই মনে পড়ে। মাঝে মধ্যে বলতেন, সিএ পড়তে এসে যতো গুলো ক্লায়েন্টে গিয়েছি তার প্রত্যেকটিতে ফটোকপি মেশিনে নিজেই ফটোকপি করেছি। ক্লায়েন্ট করে দিলে দেরি হবে তাই নিজেই করেছি। জীবনে কিছু করতে না পারলে নীলক্ষেতে যদি ফটোকপি মেশিন দিয়ে ফটোকপিও শুরু করি তাতেও দিনে কয়েক হাজার টাকা আয় করতে পারবো। এদিয়ে জীবন চলে যাবে।

আসলে এই কথা দিয়ে তিনি বুঝাতে চাইতেন, আমরা সিএ পড়তে এসে একদম ছোট কাজ থেকে শুরু করে একটা প্রতিষ্ঠান কীভাবে সফল করতে হয় তার সবকিছুই আমরা ফার্ম থেকে শিখে বের হই। আমরা নিজেরা সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে আমাদের কর্পোরেট লাইফ শুরু করি। এজন্য সব সময় ফার্ম আমাদের কাছে অত্যন্ত ভালোবাসার জায়গা।

ইকবাল ভাই নলেজ লেভেল একবারে পাশ করলেও অ্যাপলিকেশন লেভেল (এখন প্রফেশনাল লেভেল) পাশ করতে বেশ সময় লেগে যায়। এবং সিএ ফাইনাল লেভেল পাশ করতেও অনেক সময় লাগে যা প্রত্যাশিত ছিলো না।

ইকবাল ভাই ভালো কবিতা লিখতেন। যারা ফার্মে শনিবারের প্রোগ্রামে থাকতেন তারা জানেন তিনি সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে পারতেন এবং আমাদের ফার্মের যে ক্রিকেট খেলা হতো সেখানে তিনি চমৎকার ধারা ভাষ্য দিতেন যা আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করতো।

শনিবারে ফার্মে যে মিটিং হতো তা ইকবাল ভাই পরিচালনা করতেন। কারন তিনি ছিলেন AQCSFO-র প্রেসিডেন্ট। আমাকে নিয়মিত বলার জন্য ফ্লোর দিতেন। আমিও কথার মধ্যে কোন সময় মিউজিক বা কোন সময় মুভির সাথে মিল রেখে কথা বলতাম। এটা ইকবাল ভাই পছন্দ করতেন।

একটা সময় ফার্মে নিয়ম হলো, এখন থেকে শনিবারে আমরা চাইলে ক্যাজুয়াল ড্রেসে আসতে পারবো। কিন্তু আমি ফরমাল ড্রেসে-ই আসতাম।

আমি সিএ পাশ করার পর শনিবারে ক্যাজুয়াল ড্রেসে আসা শুরু করি। আমি কেন শনিবারে ফরমাল ড্রেসে আসি এনিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন করলেও তা এড়িয়ে যেতাম। উত্তর দিতাম না।

আমি সিএ পাশ করার পর শনিবারে ফার্মে মিটিং হলো। এবং ইকবাল ভাই আমাকে কথা বলার জন্য ফ্লোর দেওয়ার সময় বললেন, জসীমের সিএ পাশের সাথে সাথে বাহ্যিক কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। আশা করছি এর উত্তর জসীম দিবেন।

কূমার বিশ্বজিৎ কে একটা ইন্টারভিউ-তে জানতে চাওয়া হয়েছিলো, আপনি এতো বয়সেও কীভাবে কুমার থাকেন? এর উত্তরে কুমার শানু-কে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছিলেন তিনি যদি কুমার শানু হতে পারেন তাহলে আমি কেন কুমার বিশ্বজিৎ হতে পারবো না।

আমাদের সবারই ফেইসবুক-এ অ্যাকাউন্ট ছিলো। কিন্তু ইকবাল ভাই তখনো ফেইসবুক-এ অ্যাকাউন্ট ছিলোনা। আমরা জানতে চাইতাম, কেন অ্যাকাউন্ট খুলেননি। তিনি উত্তরে বলেছিলেন, সিএ পাস করার পর ফেইসবুক-এ অ্যাকাউন্ট খুলবেন।

আমিও তেমনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সিএ পাশ করার পর শনিবারে ফার্মে ক্যাজুয়াল ড্রেসে আসবো। এবং সিএ পাশ করার পর প্রথম সপ্তাহেই ক্যাজুয়াল ড্রেসে ফার্মে যাই। আর আমি বলেছিলাম, ইকবাল ভাই ফেইসবুক-এ অ্যাকাউন্ট খুলবেন সিএ পাশ করার পর আর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সিএ পাশ করার পর ক্যাজুয়াল ড্রেসে আসবো। আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন। একথা শুনে, ইকবাল ভাই হাসছিলেন।

আমি তখন ম্যানেজার। কয়েক সপ্তাহ কাজের জন্য শনিবারের মিটিং-এ উপস্থিত থাকতে পারিনি। তখন ইকবাল ভাই আমাকে কথা বলার জন্য ফ্লোর দেওয়ার সময় হেসে হেসে বললেন, জসীম ম্যানেজার হয়ে অনেক ব্যস্ত হয়ে গেছে তাই আমাদের কথা ভুলে গেছে। এখন আর আসেনা।

তখন আমি হেসে হেসে লাকি আখন্দ-র গান “তুমি ডাকলেই কাছে আসতাম” এর সাথে মিল রেখে বলেছিলাম, আমাকেও ডাকলেই মিটিং-এ আসতাম।

যাই হোক, যখন ইকবাল ভাই এর পাশ করতে দেরি হয়ে যাচ্ছিলো তখন আমি দুষ্টামি করে বলতাম, ভাই আপনি তো কবি। রকস্টার মুভির মতো কোন অভিজ্ঞতা নিতে গিয়ে কি কোন ছন্দ পতন হচ্ছে? হাসতেন। উত্তর দিতেন না।

আমি ইকবাল ভাইকে কোন সময় কারো সাথে রাগ করে বা উচ্চ স্বরে কখনো কথা বলতে দেখিনি। সদালাপি ছিলেন। হেসে হেসে কথা বলতেন।

কিন্তু এর বিপরীত ছিলাম আমি। আড্ডা দেওয়া, ফোনে কথা বলা, কারো সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা এসব বিষয়ে আমার প্রচন্ড দূর্বলতা রয়েছে। আর হঠাৎ রেগে যাওয়ার খারাপ বিষয়টাও আমার মধ্যে আছে যেটা আমার নিজেরই চরম অপছন্দ। নিয়মিত চেষ্টা করছি। কিন্তু কাজ হচ্ছে খুবই অল্প।

ফার্মে কারো সাথে আমার আড্ডা দেওয়াটা না হওয়ার পিছনে আরেকটা কারন ছিলো, আমি তখন একটু সময় বের করতে পারলেই যায়যায়দিন গ্রুপের সাথে মুভি দেখতে চলে যেতাম। আমার বেশির ভাগ সময়টা এই গ্রুপের সাথেই কেটেছে।

তবে ইকবাল ভাই যে বাসায় থাকতেন সেখানে দুই রাত আড্ডা দেওয়ার বিশেষ মুহুর্তের কথা মনে আছে এখনো। সিএ পরীক্ষার পর আমরা সবাই দল বেধে ইকবাল ভাই, কৌশিক ভাই, মারুফদের বাসায় সুজন দা, অপু, রবিন ভাই এবং আমি যেতাম। কৌশিক ভাই গরুর মাংস রান্না করতেন। মজা করে খাওয়া হতো। আর জমিয়ে সারা রাত আড্ডা চলতো। ইকবাল ভাই এবং সুজন দা ছিলেন আমাদের আড্ডার কেন্দ্র। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চলতো আড্ডা।

ইকবাল ভাই, কৌশিক ভাই, মারুফ একসাথে থাকতেন। তারা বলতেন, ইকবাল খাতা কলম নিয়ে পড়েছে কম। বই আর সাথে ক্যালক্যুলেটর নিয়ে পড়তেন।

তিনি যশোর বোর্ডে স্ট্যান্ড করেছিলেন। এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো রেজাল্ট নিয়ে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন-এ বিবিএ এবং এমবিএ করে সিএ পড়তে আসেন।

ইকবাল ভাই যে কবিতা লিখতেন তা নিয়ে একটা কবিতার বই বের করার তার অনেক ইচ্ছা ছিলো। সিএ পাশ করার পর “কবি ইকবাল হোসাইন এসিএ” নাম দিয়ে কবিতার বই প্রকাশ করার প্রবল ইচ্ছা ছিলো।

আমাদের ফার্মে আমি নিয়মিত ইকবাল ভাই এবং রেদওয়ানের কবিতা পড়তাম। দুইজনই ভালো কবিতা লিখেন। আমার ভালো লাগে। আশা করছি, রেদওয়ান কবিতা লেখা চালিয়ে যাবেন।

যাই হোক, ইকবাল ভাই সিএ পাশ করার পর আমি যেই রুমে বসতাম ঐ রুমে বসা শুরু করলেন। আর আমি রুম পরিবর্তন করে চলে গেলাম সিদ্দিক ভাই এর রুমে যাওয়ার আগে হাতের বাম পাশের রুমে।

এদিকে রাজ্জাক ভাই মেটলাইফ থেকে চাকরি ছেড়ে ফার্মে জয়েন করেছেন। জিয়া ভাই, রাজ্জাক ভাই, আরাফাত ভাই, ইকবাল ভাই এবং আমি, এই পাচজন একসাথে মিলে প্রতিদিন লাঞ্চ করতাম। এটা একটা বিশেষ মুহুর্ত ছিলো। ইকবাল ভাই এর রুমে বসে আমাদের আড্ডা চলতো আর তার ফাকে খাওয়া। লাঞ্চ করাটা হয়ে যেতো গৌণ।

আমার আগ্রহ থাকতো জিয়া ভাইয়ের খাবারের বক্সে। বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসতেন। মাছ আমার খুব পছন্দ। জিয়া ভাই মাছ আনাতেন কিশোরগঞ্জ থেকে। হাওড়ের মাছ। খেতে খুবই সুস্বাদু। আমার মাছ খাওয়া দেখে জিয়া ভাই তৃপ্তি পেতেন। বলতেন, তোমার মাছ খাওয়া দেখতে আমার ভালো লাগে।

যাই হোক, আমরা একসাথে লাঞ্চ শুরু করার পর আবার একই অভিজ্ঞতার সম্মূখীন হলাম। ইকবাল ভাই ফ্রেশ রুমে গিয়ে পনের মিনিট নাই। এদিকে আমাদের খাওয়া অর্ধেক। এই নিয়ে আমাদের হাসাহাসি প্রতিদিনই চলতো।

আমাদের এই আড্ডার মূল বিষয় ছিলো তিনটি। প্রথম বিষয় হলো, বিয়ে এবং মেয়ে দেখা সম্পর্কিত। তারপর দেশের রাজনীতি এবং পরে ধর্ম। এই তিনটা বিষয়ের মধ্যেই আমাদের আলোচনা সীমাবদ্ধ থাকতো। তবে এই নিয়ে আলোচনা করলেও কোনদিন আমাদের আলোচনা শেষ হয়নি, যেটা ইকবাল ভাই মারা যাওয়ার পর রাজ্জাক ভাই তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসেও উল্লেখ করেছেন।

পরে আমি অডিট থেকে চলে যাই ট্যাক্সে, পল্টন অফিসে। আমি গুলশান থেকে চলে যাওয়ার কিছুদিন পরে রাজ্জাক ভাইও চলে যান আবুল খায়ের গ্রুপে। আরাফাত ভাই চলে যান চাকরি নিয়ে। পল্টন থেকে কাজে বা মিটিং-এ গুলশান গেলেও ইকবাল ভাই এর সাথে প্রায়ই দেখা হতো না। মাঝে মধ্যে ফোনে কথা হতো।

আমি ট্যাক্সে কাজ শুরু করার পর ট্যাক্স নিয়ে বই প্রকাশ করি। এরপর থেকে ইকবাল ভাই আমাকে দেখা হলেই বলতেন, আরে লেখক সাহেব যে। কী খবর?

পরে ২০২২ এর ফেব্রুয়ারিতে আমি অস্ট্রেলিয়া চলে আসি এবং পল্টনে ট্যাক্সে জয়েন করেন ইকবাল ভাই। আমি অস্ট্রেলিয়া চলে আসলেও মাঝে মধ্যে কথা হতো এবং এর সময় ছিলো লম্বা। আমি সাধারনত, রবিবার রাতে ফোন দিতাম। তখন আমি পরের দিন থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য কাপড় ইস্ত্রী করতাম আর ইকবাল ভাই এর সাথে কথা বলতাম।

এইবার জানুয়ারি মাসে যখন বাংলাদেশে গিয়েছিলাম তখন পল্টনে গিয়েছিলাম। যোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ে বসে আছি। ইকবাল ভাই এর জন্য অপেক্ষা। ফ্রেশ রুমে গিয়েছেন। আসলেই জামাত হবে। পাশ থেকে আসিফ ভাই বললেন, ভাই প্রতিদিনই আমাদেরকে এমন অপেক্ষা করতে হয়। আমার সেই পুরনো অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেলো।

You Might Also Like

No Comments

Leave a Reply

error: Content is protected !!